সচিবালয় সমবায় সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে সংঘর্ষ, জড়িতদের শাস্তির দাবি সংযুক্ত পরিষদের

বাংলাদেশ সচিবালয়ে বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জেরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ওবায়দুল ইসলাম রবি। আহতদের মধ্যে মো. নুরুল ইসলাম আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই ঘটনার পেছনে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নেবো: ধর্ম উপদেষ্টা
সংযুক্ত পরিষদের দাবি, সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত অন্তর্বর্তীকালীন ১০ সদস্যের ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর হয়। এরপর থেকেই নতুন কমিটি নিয়মমাফিক ক্যানটিন পরিচালনা করে আসছিল। কিন্তু গত ২৪ জুন সন্ধ্যায় পূর্বের ‘আওয়ামী ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত’ কমিটির কিছু সদস্য ও তাদের অনুসারীরা ক্যানটিনে হামলা চালায়।
ঘটনার বিবরণে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. বাদিউল কবীরের নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মো. ওবায়দুল ইসলাম রবি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মো. নুরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মো. মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা লোহার রড, চাপাতি, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান।
আরও পড়ুন: বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ করা হয়নি উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব
হামলায় মো. নুরুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়, দাঁত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এছাড়াও ওবায়দুল ইসলাম রবি মারাত্মকভাবে আহত হন।
সংযুক্ত পরিষদের অভিযোগ, হামলায় অংশ নিয়েছেন আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যাদের মধ্যে রয়েছেন—মো. মহিবুল আলম সরদার (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), মোহাম্মদ আলী (ফরাস, কেয়ারটেকিং প্রতিষ্ঠান), আহসান হাবিব সিয়াম (বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়), শাহ আলম সরকার (পিআইডি) এবং মো. রবিউল ইসলাম (কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ)।
প্রসঙ্গত, সমবায় সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সচিবালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। হামলার পর পুরো সচিবালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরিষদের নেতারা বলেন, “সচিবালয়ের মতো সংবেদনশীল প্রশাসনিক স্থানে এমন বর্বর সন্ত্রাসী হামলা প্রশাসনিক শৃঙ্খলার জন্য বড় হুমকি। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”