ক্ষমা চেয়েও রক্ষা নেই
এনবিআরের আরও ৪৯ কর্মকর্তা বদলি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অস্থিরতা কোনোভাবেই কাটছে না। চেয়ারম্যান সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অতীত ভুলে গিয়ে আন্তরিকতার সাথে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিদিনই কোনো না কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে আন্দোলনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যক্তিগতভাবে এবং দলবদ্ধ হয়ে তাদের আন্দোলনের কারণে ক্ষমা চেয়ে অনুরোধ জানান। চেয়ারম্যানও কৌশল বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এরপরও বাধ্যতামূলক অবসর, বরখাস্ত, বদলিরসহ নানা নিবর্তনমূলক আদেশ আসছে।
আরও পড়ুন: সেনানিবাসের বাড়ি সাবজেল ঘোষণা প্রসঙ্গে ঢিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
গত বৃহস্পতিবার রাজস্ব বোর্ড পৃথক আদেশে ৪৯ জন কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনারকে বদলি করেছেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের এনবিআরের বিভিন্ন দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে স্থানান্তর করা হয়েছে। বদলিকৃত ২৫ জন অতিরিক্ত কমিশনার হলেন—মির্জা সহিদুজ্জামান, প্রমীলা সরকার, শামীমা আক্তার, মো. খায়রুল কবির মিয়া, ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম, আবুল আ’লা মোহাম্মদ আমিনুল ইহসান, মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, নাহিদ নওশাদ মুকুল, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মো. মিলন শেখ, মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান, মো. জিয়াউর রহমান খান, মো. রুহুল আমিন, আব্দুল রশীদ মিয়া, সাধন কুমার কুন্ডু, মোছা. শাকিলা পারভীন, খোজিস্তা আখতার, মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, নুসরাত জাহান, মোহাম্মদ বাপ্পী শাহরিয়ার সিদ্দিকী, রাকিবুল হাসান, রাফিয়া সুলতানা, রেজভী আহম্মেদ এবং কামনাশীষ।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
অন্যদিকে, বদলি হওয়া ২৪ জন যুগ্ম কমিশনার হলেন—মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন, শাহীনূর কবির পাভেল, সারমিন আক্তার মজুমদার, হাসনাইন মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী, মো. মিজানুর রহমান, মো. পায়েল পাশা, মো. নূর উদ্দিন লিমন, তাহমিনা আক্তার পলি, মো. শাকিল খন্দকার, স্নিগ্ধা বিশ্বাস, লুবনা ইয়াসমীন, মোহাম্মদ নাহিদুন্নবী, মো. খায়রুল আলম, নিতীশ বিশ্বাস, চপল চাকমা, সুশান্ত পাল, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. পারভেজ রেজা চৌধুরী, অথেলা চৌধুরী, মো. সানোয়ারুল কবির, কাজী ইরাজ ইশতিয়াক এবং ছৈয়দুল আলম।
বদলি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া হলেও, একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মকর্তার বদলি নজরকাড়া ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বদলি হওয়া অনেক কর্মকর্তা এনবিআর বিলুপ্তি এবং চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর সদস্যও ছিলেন।
এদিকে এনবিআরবিরুদ্ধ আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে ২৭ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া কয়েকজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে।