বুয়েট শিক্ষার্থী শাদিদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দুই প্রতিনিধি
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত বুয়েট শিক্ষার্থী শাদিদকে দেখতে গিয়েছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারী শেখ মইনুদ্দিন এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বুয়েটের ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাদিদ নাসিফ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেসময় কেবিনে শাদিদের বাবা, মা ও বোনসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শাদিদের মা বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েন এবং তাঁর সন্তানসহ শিক্ষার্থীদের ওপর যেকোনো ধরনের বল প্রয়োগের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেই নিশ্চয়তা চান। প্রতিনিধি দল বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশের ডিএমপি প্রধানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ
প্রতিনিধি দল পরিবারের সব সদস্যের সাথে কথা বলেন, চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। শাদিদের বাবা রংপুরে একটি কলেজের শিক্ষক এবং বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রংপুর থেকে আসা পরিবারের অপর সদস্যদের উপস্থিতিতে দুই বিশেষ সহকারী পরিবারের সদস্যদেরকে শিক্ষার্থী শাদিদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তাসহ প্রয়োজনে যেকোনো উন্নততর চিকিৎসার আশ্বাস দেন।
এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শাদিদের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল আছেন। তবে পাঁচটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, চিকিৎসক দল পঞ্চম দিন অতিবাহিত হবার পরে সেলাই পরিস্থিতি বিবেচনায় রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হবে কিনা সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাটভিত্তিক উৎপাদনে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
প্রতিনিধি দল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রকৌশলীদের চাকরির অসন্তোষ সমাধানে গঠিত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খানের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। সাপোর্ট স্টাফ, নার্স, চিকিৎসক দলসহ সবাইকেই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল শাদিদের বুয়েট ২০২০ ব্যাচের কয়েকজন সহপাঠী এবং উপস্থিত প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সংগঠকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এসময় সবাই মিলে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। পাশাপাশি শাদিদের সহপাঠীরা স্নাতক প্রকৌশলীদের দাবির একটি যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির ব্যাপারে সকলের নজর আকর্ষণ করেন।





