দেশের স্থলবন্দরে সেবা মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ল

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৪ অপরাহ্ন, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৪ অপরাহ্ন, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের সব স্থলবন্দরে সেবা মাশুলের হার ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বন্দরে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে আদায়যোগ্য কর, টোল ও মাশুল আগের তুলনায় এই হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বাড়তি এই মাশুল কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

অন্য স্থলবন্দরের তুলনায় বেনাপোল স্থলবন্দরে সেবার ধরন ও পরিমাণ বেশি হওয়ায় এ বন্দরের জন্য আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে মোট ২৭ ধরনের সেবার বিপরীতে মাশুল আদায় করা হয়।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশবিদেশের যারা ছিলেন

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা। ২০২৬ সালের জন্য এই মাশুল বাড়িয়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা করা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরি প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা ৯০ পয়সা। মোটরকার, জিপ, পিকআপ ও থ্রি-হুইলারের জন্য মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের ক্ষেত্রে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিচ্ছেন ৩২ দেশের কূটনীতিক

এ ছাড়া বেনাপোল স্থলবন্দরে ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহারের জন্য ট্রাক ও লরিকে দিতে হবে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা। কাগজপত্র প্রক্রিয়াকরণ মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন ইয়ার্ডে সারা রাত অবস্থান করলে দিতে হবে ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার ক্ষেত্রেও সময়ভেদে মাশুল বাড়ানো হয়েছে।

বেনাপোল ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোতে ৫ শতাংশ হারে মাশুল বাড়ানো হয়েছে। বেনাপোল ছাড়া অন্য স্থলবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালে মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা নতুন বছরে বেড়ে দাঁড়াবে ৫২ টাকা ২৭ পয়সায়।

অন্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা। আগে এ ক্ষেত্রে দিতে হতো ১৫১ টাকা ৬৪ পয়সা। মোটরকার ও জিপের জন্য মাশুল ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা। মোটরসাইকেল, স্কুটার, বেবি ট্যাক্সি ও থ্রি-হুইলারের জন্য নতুন মাশুল ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও পণ্যের ধরন অনুযায়ী মাশুল বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও নিয়মিতভাবে মাশুল সমন্বয় করা হয়েছে। স্থলবন্দরের আয়ের প্রধান উৎস হওয়ায় এই মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন হার কার্যকর হবে।