বাজেটে কালো টাকার বৈধতা দিচ্ছে সরকার: ইসলামী আন্দোলন

বাজেটে কালো টাকা সাদার করার সুযোগ মানে দুর্নীতির টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে করে ভবিষ্যতে আরো দুর্নীতিগ্রস্ত জাতি তৈরি সুযোগ করে দিলো সরকার এমনটাই মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকা সাদা করার সুযোগ না দিয়ে বরং দুর্নীতি টাকা ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা বার্ষিক লুটপাটের বরাদ্দপত্র। ঋণনির্ভর বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ ঋণের সুদ প্রদানের জন্য রাখা হয়েছে। অর্থ্যাৎ এ বছর আগের ১২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এতে করে জনগণকে সুদের সাথে সম্পৃক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র। ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে সুদ দেয়া, নেয়া, সুদের সাক্ষী হওয়া সবই গুণাহের কাজ। সরকার কৌশলে জনগণকে সুদে সম্পৃক্ত করার নীল নকশা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা আছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আজ শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের সহকারী মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুরা অধিবেশনে বিশেষ অতিতি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নুরুজ্জামান সরকার, দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, সহ-দফতর সম্পাদক মুফতী আখতারুজ্জামান, এমএইচ মোস্তফা, মুফতী রফিকুল ইসলাম আশরাফী, ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান, আব্দুল কাদির, শ্রমিক নেতা হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানীয়া, মাওলানা শফিকুল ইসলাম। শুরা অধিবেশন সঞ্চালনা করেন মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, সরকারি কাজে ব্যয় কমানো কিংবা আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে এদের কোনো উদ্যোগ নেই, এদের আগ্রহ অনুৎপাদনশীল উন্নয়ন প্রকল্পে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেএম আতিকুর রহমান বলেন, বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগ বরাদ্দ বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধ করার জন্য। যা মুসলিম জাতি হিসেবে আমরা মর্মাহত। সুদের মতো একটি হারাম কাজে জনগণকে জড়িয়ে সরকার জনগণকে গুনাহের দিকে ধাবিত করছে। তিনি বলেন, সাহাবায়ে কেরাম বিশ্বব্যাপী দীন বিজয় করে গেছেন। আমরা দীন থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছি। তিনি বলেন, প্রযুক্তির গতি বৃদ্ধি হয়েছে বটে, আমরা ঈমান ও আমলের গতি হারাচ্ছি। কাজেই ঈমান ও আমলের মেহনতের মাধ্যমে আমাদের হারানোর গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন,সরকার ঋণনির্ভর বাজেট দিয়ে জাতিকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে তুলছে। সরকারের ঘোষিত নতুন বাজেট জনগণের উপর নতুন করে দ্রব্যমূল্যের খড়গ চাপিয়ে দেয়ার বাজেট।