ভালুকায় কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ চারজনের ওপর হামলা

Shakil
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ন, ২৮ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, ২৮ মার্চ ২০২৩
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ময়মনসিংহের ভালুকায় কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ চারজনের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে সুজন গনের বিরুদ্ধে। 

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন। 

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

এর আগে সোমবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর মাস্টারের বাড়ির পাশে মুদি দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই রাতেই আহত শিক্ষার্থীর বাবা নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

আহতরা হলেন-মুজিবুর রহমানের ছেলে কলেজ পড়ুয়া মো. তায়িব (১৯) তার বন্ধু তাওহিদ (২২), নয়ন (২০) ও পাভেল (১৮)।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

স্থানীয় ও থানায় লিখিত বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৭ মার্চ আনুমানিক রাত সাড়ে ৭টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওমর মাস্টারের বাড়ির পাশে মুদি দোকানের সামনে মুজিবুর রহমানের ছেলে কলেজ পড়ুয়া মো. তায়িব এর বন্ধু তাওহিদকে দেখা মাত্রই চাঁনু মিয়ার নির্দেশে সুজন, শিমুল, কিরন, কানন, রনি, আল-আমিন ও মজিবর রহমানসহ আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা। তারা হাতে রাম দা, হকিস্টিক, লোহার রড, লোহার পাইপ ইত্যাদি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে ঘেরাও করে তাওহিদকে। পরে তাকে অতর্কিতভাবে মারধর করে। 

এ সময় তায়িব ও তার বন্ধু নয়ন, পাভেল বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে এবং গলায় থাকা এক ভরি স্বর্ণের একটি চেইন ও একটি স্যামসং মোবাইল সেট নিয়ে যায়। তখন তাদের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে একজন বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর বাবা মজিবর রহমান নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮-১০ জন অজ্ঞাতনামা করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযুক্তরা হলেন-চাঁনু মিয়ার ছেলে সুজন (৩০), মৃত নাজিম আলী শেখের ছেলে চাঁনু মিয়া (৬০), আ. রশিদের ছেলে শিমুল (২০), হাবিব মোল্লার ছেলে কিরন (২০) হাবিব মোল্লার ছেলে কানন (২২), হোসেন আলীর ছেলে রনি (২৬), হারেছের ছেলে আল-আমিন (৪০) ও মৃত হযরত আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৫০) তারা সবাই ভালুকা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত সুজনের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কিছুই জানে না বলে জানান। 

এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তে করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।