রাজশাহীতে তান্ডব: যুবককে খুনের পর অভিযুক্তকে পুলিশের সামনেই জনতার পিটিয়ে হত্যা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০০ অপরাহ্ন, ০৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারায় একটি চায়ের দোকানে আবদুর রাজ্জাক (৩৫) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার জেরে পুলিশের উপস্থিতিতেই আমিনুল ইসলাম (২২) নামের অভিযুক্ত তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন। এ সময় উপপরিদর্শকসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তাদের হামলায়। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বাগমারা উপজেলার ঝিকড়ার রনশিবাড়ি বাজারে ঘটে এ ঘটনা। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, এদিন বিকেলে আবদুর রাজ্জাক রনশিবাড়ি বাজারের নজরুলের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম (২২) দোকানের ভেতরে ঢুকে আবদুর রাজ্জাককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে আহত করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার মৃত্যু নিশ্চিত হলে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন আমিনুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: তৃতীয় দফা বন্যায় তিস্তা তীরের হাজারো মানুষ পানিবন্দি

স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে আমিনুলকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তিনি রনশিবাড়ি গ্রামের আবদুর রশিদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ক্ষুব্ধ লোকজন বাড়িটি ঘিরে রাখেন। খবর পেয়ে বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তবে লোকজনের বাধায় ব্যর্থ হয় সেই চেষ্টা। লোকজন কয়েক দফা বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা চালান। তারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দিয়ে পুলিশকে চলে যেতে বলেন।

একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষুব্ধ লোকজন বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে উপপরিদর্শক সাদিকুল ইসলামসহ পুলিশের ছয় সদস্যকে লাঞ্ছিত ও মারধর করে ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। এরপর বাড়ি থেকে বাইরে নিয়ে এসে মারধরের এক পর্যায়ে ওই তরুণকে মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোণায় যুবদলের মিলাদ মাহফিল

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হওয়ার খবর আসে বিকেলের দিকে। ঘটনাস্থল বাগমারা হলেও নিহত ব্যক্তির বাড়ি আত্রাইয়ের গোয়ালবাড়ি গ্রামে। খুনের সঙ্গে জড়িত তরুণের বাড়িও একই গ্রামে। পরে পুলিশকে মারপিট করে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা ওই তরুণকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে ও মাথায় ইট দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।