স্বায়ত্তশাসন পুন:প্রতিষ্ঠাসহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ন, ০৪ মে ২০২৫ | আপডেট: ২:২৫ অপরাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

স্বায়ত্তশাসন পুন:প্রতিষ্ঠা এবং মন্ত্রণালয়ের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের প্রতিবাদে ০৪ মে, ২০২৫খ্রি. রোববার বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণ-জমায়েত শেষে বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল দাবির স্বপক্ষে সংগ্রহকৃত গণস্বাক্ষরের কপিসহ একটি স্মারকলিপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট দাখিল করেন।

বিদ্যমান সমস্যাদি সমাধানে কমিশনের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত স্মারকলিপির ব্যাপারে মন্ত্রণালয় হতে কোনো সাড়া এবং আলোচনার সুযোগ না পেয়ে গত ১০ এপ্রিল কমিশনের সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে অনুরোধ জানিয়ে পুনরায় পত্র প্রদান করা হয়। 

আরও পড়ুন: মাধবপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেফতা, ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার

এরপরও মন্ত্রণালয়ের কোন সাড়া না পাওয়ায় গত ২২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে বিজ্ঞানী-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ হতে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয় এবং একই দিন হতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ হতে কমিশনের সকল প্রতিষ্ঠানে একযোগে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এরপর গত ২৭-২৮ এপ্রিল ২০২৫ বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ৪০টি প্রতিষ্ঠানে একযোগে অবস্থান গ্রহণ এবং গণস্বাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। পরবর্তীতে গত ২৯ এবং ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। 

আরও পড়ুন: সাভারে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নিলেন ইউএনও

এই কমিশনটি ১৯৭৩ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার নম্বর ১৫ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং ২০১৭ সালের আইন নম্বর ২৩ পরিচালিত একটি বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসন আমলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট আমলারা কমিশনের আইনকে উপেক্ষা করে কমিশনের শীর্ষ পদগুলি শূন্য রেখে কমিশনকে দূর্বল করে মন্ত্রণালয়ের আজ্ঞাবহ একটি নতজানু প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিলেও সে অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি বরং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আমলাদের কর্তৃত্ববাদী আচরণ ও কমিশনের এখতিয়ারভূক্ত কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ দিন দিন বেড়েই চলেছে যা কমিশনের স্বায়ত্তশাসনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং কমিশনের কর্মদক্ষতা, মর্যাদা ও মনোবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। 

এ পরিস্থিতিতে কমিশনের গবেষণা কর্মকান্ড ও সেবা কার্যক্রম পরিচালনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ পেক্ষাপটে, চলমান আন্দোলন ও  ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ না নেয়ায় দাবিসমূহ বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।