স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও হয়নি সেতু

ফটিকছড়িতে পাকা সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৩০ গ্রামের মানুষ

Sadek Ali
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ন, ১৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের শান্তিরহাট বটতলীতে গজারিয়া খালের ওপর এখনো টিকে আছে একটি জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো। ১০৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সাঁকোটি দিয়েই স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরও যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন অন্তত ৩০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়ে এলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গহিরা-রামগড় আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বেতুয়া, কাঞ্চনা, দাওয়াতের টিলা, বান্দর মারা, পানিঘাটা, নলুয়ার টিলা, মুজাহিদপুর, চুরামনি ও ঘর কাটা গ্রামের বাসিন্দারা গজারিয়া খালের ওপর নির্মিত এই কাঠের সাঁকো দিয়েই চলাচল করেন। এসব গ্রামে রয়েছে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫টি জামে মসজিদ, ১৫টি নূরানী মাদ্রাসা এবং ছয়টি ছোট বাজার। প্রতিদিন শত শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো পার হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

স্থানীয় দোকানদার সমীর পাল বলেন, “আমি আট বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। অনেক সময় তাদের দুর্ঘটনার শিকার হতে দেখি। এটি যেন এক মৃত্যুফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

অন্যদিকে কাঞ্চনা গ্রামের বাসিন্দা মো. কাউসার বলেন, “স্বাধীনতার পর এত বছর কেটে গেলেও এখনও একটি পাকা সেতু হলো না। পাকা সেতু হলে শুধু যাতায়াতই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগও বাড়বে।”

আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে

অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী পরিবহনেও সমস্যার কথা জানান স্থানীয়রা। কাঠের সাঁকো দিয়ে গাড়ি চলাচল সম্ভব না হওয়ায় রোগীকে বহুদূর ঘুরে শান্তিরহাট বা দাঁতমারা দিয়ে হাসপাতালে নিতে হয়। আর কিছুদিন ধরে আশপাশের কয়েকটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় সেই পথেও চলাচল বন্ধ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম বলেন, “আমরা বহুবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু পিআইও অফিস জানায়, ৫০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের সাঁকোর জন্য তারা বরাদ্দ দিতে পারেন না। ফলে ১০৫ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সাঁকোর জন্য আমাদের জেলা পরিষদের আশায় থাকতে হচ্ছে।”

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে গজারিয়া খালের ওপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হোক। তবেই এই অঞ্চলের মানুষ যাতায়াত ও উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতে পারবে।