৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে ব্যবসায়ীকে কিলার গ্যাংয়ের চিঠি আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

Sanchoy Biswas
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ন, ০২ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:১৫ অপরাহ্ন, ০১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষ এলাকায় মো. আজাহারুল ইসলাম নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে কিলার গ্যাংয়ের নাম ব্যবহার করে প্যাডে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে তার এক কর্মচারীর হাতে একটি অচেনা ব্যক্তি এ চিঠি দিয়ে যান। শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ী চিঠিটি হাতে পান। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

চিঠিতে লেখা রয়েছে, এই চিঠি পাওয়ার পর যদি বিষয়টি কারও সঙ্গে শেয়ার করস বা আইনের আশ্রয় নিস, তাহলে তোকে এমনভাবে কবর দেওয়া হবে যাতে তোর লাশ খুঁজে না পায় তোর পরিবার। মনে রাখবি, প্রশাসন সবসময় তোর পাশে থাকবে না। তোর অনেকদিনের ব্যবসা, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই। তাই দাকিকৃত ৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছু না। আগামী ৩ আগস্ট, রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় কাগমারীতে মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে ফরহাদের ছবি লাগানো গাছের নিচে একটি শপিং ব্যাগে করে টাকা রেখে যাবি। যদি বাঁচতে চাস, তাহলে বুদ্ধিমানের মতো কাজ কর। না হলে তুই ও তোর পরিবার কেউ নিরাপদ থাকবি না।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমার কর্মচারী একজন অশিক্ষিত মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে এক লোক তাকে এই চিঠি দেয় এবং বলে এটি একটি ক্লাব থেকে এসেছে। পরদিন সকালে সে আমাকে চিঠিটি দেয়। পড়ার পর থেকে আমি ও আমার পরিবার ভয়ের মধ্যে আছি।

তিনি জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। রাতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

সন্তোষ বাজার কমিটির আহ্বায়ক মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, আজাহার ভাই দীর্ঘদিন ধরে সততার সঙ্গে মাছ ব্যবসা করে আসছেন। এই এলাকায় স্বাধীনতার পর এমন ঘটনা আর ঘটেছে বলে শুনিনি। ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এইচ.এম. মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। সদর থানার ওসি তানভীরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।