কক্সবাজারে রেকর্ড ১,৩২২ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো বিজিবি

কক্সবাজারে রেকর্ড পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে বিজিবির রামু সেক্টরের ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি)-এর প্রশিক্ষণ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, রামু সেক্টরের আওতাধীন ব্যাটালিয়নসমূহ কর্তৃক দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তে পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যের বাজারমূল্য প্রায় ১,৩২২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত
ধ্বংস করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল ২,০০,৩৩,৯৪৯ পিস ইয়াবা, ১৪০.০৪৯ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৫.৯৯৮ কেজি হেরোইন, ৪.৪০৫ কেজি কোকেন, ৫২.৮০০ কেজি গাঁজা, ৪ কেজি আফিম, ৬১,৪৯১ ক্যান বিয়ার, ২২,১৫৫ বোতল বিভিন্ন প্রকার বিদেশি মদ, ২ বোতল হুইস্কি, ১,৭৯৯.৩ লিটার বাংলা মদ, ১৬৯ বোতল ফেন্সিডিল, ১৯২ ক্যান কমান্ডো এনার্জি ড্রিংক, ৫৪০ কৌটা বার্মিজ জর্দা, ৩,৩৭,৬৪২ প্যাকেট সিগারেট, ৮০০ পিস ট্যাবলেট (টার্গেট)।
গত বছরে কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের আওতায় পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে ২,২১৬ কোটি টাকা মূল্যের মাদক জব্দ করা হয়। এরমধ্যে ৮৯৫ কোটি টাকার মাদকসহ ২,৬৯৩ জন আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। এবার ধ্বংস করা হয়েছে ১,৩২১ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মাদকদ্রব্য।
আরও পড়ুন: পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আকছার খান, রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ, র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল আলম এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার তার বক্তব্যে বলেন, “মাদক বাংলাদেশের সামাজিক অবক্ষয়, জননিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি নীরব ঘাতক। এটি নির্মূল করতে বিজিবি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনায় বিজিবির অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা ও জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিজিবি সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
রিজিয়ন কমান্ডার দেশের জনগণকে মাদকবিরোধী আন্দোলনে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”