খুলনায় সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু রহস্য ক্লিনিক ব্যবসায়ীকে ঘিরে

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খুলনায় সিনিয়র সাংবাদিক ওহেদ-উজ-জামান বুলুর (৬০) মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে নৌ-পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, পিবিআই ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিক বুলুর ভাই আনিসুজ্জামান দুলু বাদী হয়ে লবণচরা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে নৌ-পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তা নৌ পুলিশ পরিদর্শক আবুল খায়ের শেখ বলেন, *“পারিবারিক সমস্যা, অর্থ লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে আমরা তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছি।”*

আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে আ.লীগ নেতার পদত্যাগ

তিনি আরও জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বুলুর দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া সুলতানা ফোন করেছিলেন। তবে পরদিন থেকে তিনি আর ফোনে সাড়া দিচ্ছেন না। ব্রিজ থেকে পড়ায় বুলুর মুখ থেঁতলে যায় এবং কোমর ও পা ভেঙে গেছে বলেও জানান তিনি।

খুলনা নৌ পুলিশের এসপি ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, সাংবাদিক বুলুকে রূপসা ব্রিজ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে নাকি তিনি নিজেই লাফ দিয়েছেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস

বুলুর পরিবার দাবি করেছে, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। তারা অভিযোগ করে বলেন, বুলুর দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া সুলতানা জোরপূর্বক ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা নিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন। এছাড়া বুলু ব্যাংকে করা ২৫ লাখ টাকার এফডিআর বেসরকারি এক ক্লিনিকে বিনিয়োগ করেছিলেন, যা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।

পরিবার আরও জানায়, বুলুর প্রথম স্ত্রী এলিজা পারভীন গত ১১ মে থেকে নিখোঁজ আছেন। এছাড়া সব হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় কিছুদিন আগে বুলু আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন।

বর্তমানে নৌ-পুলিশসহ একাধিক সংস্থা বিষয়টি হত্যা নাকি আত্মহত্যা—সেই রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে।