জিম্মি করে মারধর-স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর: সিংড়ায় বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

নাটোরের সিংড়ায় মোস্তফা কামাল নামের যুবককে জিম্মি করে মারধর ও ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ায় অভিযুক্ত হাফিজুর রহমানের বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়গ্রাম বাজারে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বড়গ্রামের জনসাধারণ।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় কাউকেই গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে দাবি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
ভুক্তভোগি যুবক মোস্তফা কামাল বড়গ্রাম রঘুকদমা গ্রামের হাজি আব্দুর রহিম উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত যুবক হাফিজুল ইসলাম বামিহাল গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে। প্রতিবাদ সভায় গ্রাম্য প্রধান আলহাজ্ব আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
ভুক্তভোগি যুবকের লিখিত অভিযোগ এবং প্রতিবাদ সভা সূত্রে জানা গেছে, বড়গ্রামের মোস্তফা কামালকে বামিহাল গ্রামের হাফিজুল ইসলাম গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩০ হাজার টাকা নেয়। একশত টাকা মূল্যের ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ইয়াবা সহ ছবি তুলে ছেড়ে দেয়। চার দিন পরে ফোনে টাকা দাবি করা হয়, টাকা না দিলে ইয়াবা দিয়ে তোলা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এবং ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
ভুক্তভোগি যুবক মোস্তফা কামাল ২০ সেপ্টেম্বর সিংড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলাম মোবাইল ফোনে মোস্তফা কামালকে হত্যার হুমকি দেন। হুমকির ভয়ে প্রাণে বাঁচতে মোস্তফা এলাকা ছেড়ে চলে যান। গ্রামবাসি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী হাফিজুলের বিচারের দাবি করেন।
অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তা বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বলেন, “এঘটনায় ভুক্তভোগীর একটি অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”