কমলনগরে অসঙ্গতি রেখে কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান সংগ্রহের অভিযোগ

Sanchoy Biswas
কবির হোসেন রাকিব, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ন, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৩ অপরাহ্ন, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চলতি মৌসুমে কৃষকের তালিকায় অসঙ্গতি রেখে আমন ধান সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। আর এমন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উপজেলা কয়েক জন উপসহকারীর বিরুদ্ধে। তালিকা অসঙ্গতি রেখে খাদ্য বিভাগে কৃষকের নামে তালিকা জমা দেওয়া হয়। এসব তালিকায় প্রকৃত কৃষকের নামের হদিছ নেই। বাদ পড়ার আশঙ্কায় প্রকৃত কৃষকদের মাঝে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।

সূত্রে জানা যায়, কমলনগর খাদ্য বিভাগে চলতি বছরে প্রায় ১৭০ মে.টন ধান সংগ্রহ করার কথা। শুরুতেই ধানসংগ্রহে বিভিন্ন অনিয়ম দেখা গেছে। কৃষি উপসহকারীরা একটি সুবিধা দেখিয়ে কর্মকর্তার কাছ থেকে ফরওয়ার্ডিং করে নেয়। তারা আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে প্রস্তুতকৃত তালিকা খাদ্য বিভাগে জমা দেয়। ফলে প্রকৃত কৃষকরা হতাশায় থাকেন। এতে উপসহকারী কৃষি ও জনপ্রতিনিধিরা মিলেমিশে লুটপাট চালাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন

এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, খাদ্য বিভাগের কর্মচারীরা প্রতিমণ ধান থেকে অতিরিক্ত আরও ৫-৬ কেজি বাড়তি নিচ্ছেন। ফলে প্রকৃত কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। উপসহকারী কৃষি ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত হয়ে সরকারী বিধি ভঙ্গ করে খাদ্যগুদামে ধান দেয়ার অভিযোগ অতি পুরনো। উপসহকারীরা নিরপেক্ষ তালিকা না করে নিজেরাই সরকারী ধান সংগ্রহ বিধি ভঙ্গ করে কৃষকের নাম ভেঙে ধান দিচ্ছেন। যা ধান থেকে চাল সংগ্রহে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ফলে সরকারের কাঙ্খিত আমন ধান সংগ্রহে অপুরণীয় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তীতে ভোক্তারা পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল পাচ্ছেন।

এদিকে খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের তদারকি নিয়েও কৃষকদের মনে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। জানা গেছে, খাদ্যগুদামের কর্মচারীরা কাবিখা, ভিজিডি, টিসিবি ও রেশন কার্ডের ডিলার থেকে আর্থিকসহ নানা সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে মাছধরার বোটসহ আটক-১৬