আজ খোলা হচ্ছে পাগলা মসজিদের সিন্দুক, নতুন রেকর্ডের অপেক্ষা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি লোহার দানসিন্দুক আজ সকালে খোলা হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের ভালোবাসা ও বিশ্বাসে ভর করে গড়ে ওঠা এই সিন্দুকগুলোর দিকে তাকিয়ে এখন সারা দেশের মানুষ। বিশেষ করে কিশোরগঞ্জবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে বাড়তি উৎসাহ ও কৌতূহল।
এর আগে সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক খোলা হয়েছিল। সে সময় ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দীর্ঘ সাড়ে ১১ ঘণ্টা গণনা শেষে পাওয়া যায় রেকর্ড পরিমাণ ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গিয়েছিল। প্রায় ৫০০ জনের একটি দল ওই সময় দানকৃত অর্থ গণনার কাজে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: শিবপুর প্রেসক্লাবের আসাদ সভাপতি, মাহবুব খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
এবারের সিন্দুক খোলার বিশেষত্ব হলো প্রায় ৩ মাস ২৭ দিন পর দানসিন্দুক খোলা হচ্ছে। সাধারণত প্রতি তিন মাস অন্তর এই সিন্দুক খোলা হলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এবার সময় কিছুটা বেড়েছে।
পাগলা মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা দান করতে আসেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান কিংবা বিশেষ দিনে এখানে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এসব সময় দানের প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। ফলে এবারও আগের সব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
শনিবার সকালে দানসিন্দুক খোলার সময় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য, ব্যাংক কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দানকৃত অর্থ গণনার কাজে নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ৫০০ জন।
উল্লেখ্য, পাগলা মসজিদের দানসিন্দুক থেকে প্রাপ্ত অর্থ মসজিদের উন্নয়ন, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সহায়তা, মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনাসহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রথমে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হলেও বর্তমানে এর আয়তন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ একর ৮৮ শতাংশে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদে রয়েছে পাঁচতলা ভবনের সমান উচ্চতার একটি সুউচ্চ মিনার, যা দূর থেকেই নজরে পড়ে। এখানে একসঙ্গে প্রায় ৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। নারীদের জন্য রয়েছে পৃথক নামাজের ব্যবস্থা।





