শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় সহযোগিতা জোরদারে ঢাবি-বিপসটের চুক্তি

Any Akter
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:০৬ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন্স ট্রেনিং (বিপসট)-এর মধ্যে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং বিপসটের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাফিজ মাহমুদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

আরও পড়ুন: জকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা, নির্বাচন ২২শে ডিসেম্বর

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, বিপসটের সিনিয়র ইনস্ট্রাক্টর-১ কর্নেল কাজী নাদির হোসেন, জিএসও-১ (প্রশিক্ষণ) লে. কর্নেল শেখ মো. মুরাদ হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

চুক্তি অনুযায়ী, আগামী দশ বছর মেয়াদে উভয় প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম (UN Peacekeeping Operations) সংশ্লিষ্ট গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা ও সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল প্রসঙ্গে সরকারের ব্যাখ্যা

চুক্তির আওতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশেষজ্ঞ বিনিময় কর্মসূচি, যৌথ গবেষণা প্রকল্প, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পারস্পরিক সফর বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “দেশের প্রধান উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শান্তিরক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ঢাবি ও বিপসটের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক শান্তি অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এই চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন, যা একাডেমিক ও পেশাগত—উভয় ক্ষেত্রেই দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করবে।”