বাড়ছে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ, সতর্ক না হলে নিতে পারে ভয়াবহ রূপ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ন, ২৫ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, ২৫ জুন ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। জুন মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এখনই ব্যবস্থা না নিলে এই রোগ মহামারির রূপ নিতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসেই ঢাকায় ২,৫০০ জনের বেশি মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। শুধু মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর ও মুগদা এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এডিস মশা-জনিত এই রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই ২০-৪০ বছর বয়সী। তবে বয়স্ক ও শিশুদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।

চিকুনগুনিয়া কী?

আরও পড়ুন: ৩৩ ধরনের ওষুধের দাম কমালো, সাশ্রয় ১১৬ কোটি টাকা

চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস ইজিপ্টাই এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এটি সাধারণত দিনের বেলায় মশার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। চিকুনগুনিয়া লক্ষণগুলো হলো, হঠাৎ করে জ্বর, তীব্র হাত-পা ও গিঁটে ব্যথা, মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শরীরে লালচে র‍্যাশ, অনেক ক্ষেত্রে গিঁটের ব্যথা কয়েক সপ্তাহ বা মাসব্যাপী স্থায়ী হতে পারে।

চিকিৎসা কী?

আরও পড়ুন: ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল ও ভ্যাট ফোরামের স্বাস্থ্যচুক্তি

চিকুনগুনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক নেই। মূলত উপসর্গ নির্ভর চিকিৎসাই দেওয়া হয়। প্যারাসিটামল সেবন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পানি ও তরল গ্রহণ, এন্টিবায়োটিক নয় (কার্যকর নয়)। বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্বর দেখা দিলে কোনোভাবেই নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

যা করণীয়

জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন, দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করুন, বাড়ির চারপাশে মশার স্প্রে করুন, ফুলহাতা জামা-কাপড় পরিধান করুন,নিজে সচেতন হন, প্রতিবেশীকেও সচেতন করুন।

আইইডিসিআর-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. জহুরুল হক বলেন, চিকুনগুনিয়া এবার আগের বছরের তুলনায় দ্রুত ছড়াচ্ছে। জনগণের সচেতনতাই এর বিস্তার রোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।

দেশবাসীর জন্য এটি এখন আর শুধু একটি রোগ নয়, বরং এক গুরুতর জনস্বাস্থ্য সংকট। সময় থাকতে সতর্ক না হলে সামনে পরিস্থিতি হতে পারে আরও ভয়াবহ।