গাজাগামী নৌবহর আটক

শহিদুল আলমসহ দেড়শো মানবাধিকারকর্মীদের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হলো

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ন, ০৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩৯ অপরাহ্ন, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত


গাজায় ত্রাণ ও ওষুধ নিয়ে যাওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)-এর নৌবহর আটক করেছে ইসরায়েল। আটক মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ট্রাম্প

বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার উপকূলে পৌঁছানোর আগেই আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফ্লোটিলার ৯টি জাহাজ আটক করা হয়েছে। দেড়শো স্বেচ্ছাসেবীকে আটক করে আশদোদ বন্দরে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, সবাই সুস্থ আছেন এবং দ্রুত নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

জানা গেছে, ফ্লোটিলার এই বহরটি দুই সপ্তাহ আগে ইতালি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। একটি বড় জাহাজে প্রায় ১০০ জন এবং বাকি আটটি ছোট নৌযানে আরও ৫০ জন কর্মী ছিলেন। নৌবহরের একটি জাহাজ— ‘কনশানস’—এ ছিলেন শহিদুল আলম।

আরও পড়ুন: গাজায় প্রথম দফায় মুক্তি পেলেন যারা

ইসরায়েলি নৌবাহিনীর বিশেষ ইউনিট শায়েতেত ১৩ হেলিকপ্টার থেকে অভিযান চালিয়ে জাহাজগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হেলিকপ্টার থেকে রশি বেয়ে কমান্ডোরা জাহাজে নামে এবং একে একে সব জাহাজ দখল করে নেয়।

এফএফসি আয়োজকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের জাহাজে সামরিক হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালানো হয়েছে এবং আমাদের ৯টি নৌযান অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে।

তারা দাবি করেছে, বহরটি গাজার হাসপাতালগুলোর জন্য পাঠানো ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, রেসপিরেটরি সরঞ্জাম ও পুষ্টি সহায়তা বহন করছিল।

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে সমুদ্র ডাকাতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।

তুরস্ক জানায়, নৌবহরে তুর্কি নাগরিক ও সংসদ সদস্যরাও ছিলেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, “গত দুই বছরে ইসরায়েল হিটলারের চেয়েও ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে।”

এর আগে গত সপ্তাহেও গাজামুখী ৪০টির বেশি নৌযান আটক করে ইসরায়েল, যাতে প্রায় ৪৫০ জন কর্মী ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৮ বছর ধরে ইসরায়েল গাজা উপকূল অবরোধ করে রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। চলমান অবরোধ ও ধ্বংসযজ্ঞে অঞ্চলটি এখন কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা, আনাদোলু এজেন্সি, রয়টার্স