কারিগরি বোর্ড
কারা সনদ নিয়েছেন, কারা টাকা নিয়েছেন খুঁজে বের করবো: ডিবিপ্রধান

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। স্বয়ং বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রীর জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিন ঘণ্টা ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, এই চক্রের মাধ্যমে কারা সনদ নিয়েছেন, কখন কাকে কি পরিমাণ টাকা দিয়েছেন, সব বিষয় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা
তিনি বলেন, সনদগুলো কারা কিনেছেন, কোথায় কোথায় বিক্রি হয়েছে, সেটা দেখা হবে। বুয়েটের পরীক্ষক দল আসবে। বিশ্লেষণ করে দেখা হবে আসলে কি পরিমাণ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে। তদন্ত আরও চলবে। আর্থিকভাবে চেয়ারম্যান জড়িত কি না তাও খুঁজে বের করা হবে।
ডিবিপ্রধান বলেন, রক্ষক হয়ে যদি এখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেন, সরিষার মধ্যে যদি ভূত থাকে! তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও চেয়ারম্যান জানার পরও ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আরেকটু তদন্ত করবো। জানার পরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? ইচ্ছাকৃত, অবজ্ঞা নাকি অনিচ্ছায় জেনেও ব্যবস্থা নেননি তা জানার চেষ্টা করবো। দায় এড়ানোর তো সুযোগই নেই। তিনি (আলী আকবর খান) তো এরইমধ্যে ওএসডি হয়েছেন।
আলী আকবর খানের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট কি না? স্ত্রীও গ্রেফতার? পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তাহলে চেয়ারম্যান ও পরীক্ষক কেন গ্রেফতার হবে না?
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমাদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জালিয়াতির ঘটনা লজ্জাজনক। দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। স্ত্রী যে টাকাটা নিতেন সেটা তিনি জানেন কি না? পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ লাগবে। যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, তার স্ত্রী সেহেলি পারভীনের সার্টিফিকেট বাণিজ্যের বিষয়টি তিনি জানতেন না।