ফুটবল দল নেপাল থেকে দেশে পৌঁছাতে পারে বিকেল ৩টায় : আইএসপিআর

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:০৯ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:০৯ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানযোগে বিকেল ৩টার দিকে দেশে ফিরতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।

আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবে : সিইসি

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানযোগে আজ আনুমানিক বিকেল তিনটার দিকে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, নেপালের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমানটি আজ বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করে।

আরও পড়ুন: ‘পিটার হাসের কোম্পানি’ থেকে এলএনজি কিনবে সরকার

এর আগে গত সোমবার নেপাল সরকার ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বল্পমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর হাজারো তরুণ-তরুণী বিক্ষোভে নামেন। পুলিশ গুলি চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। মঙ্গলবার সরকারি স্থাপনাগুলোতে হামলার পর সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নেয়। 

মঙ্গলবার এ সহিংসতার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল তাকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দায়িত্ব নিতে বলেন। কিন্তু ওলি সরকারি বাসভবন ছেড়ে চলে যান। তার অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি রেহান রাজ দঙ্গল জানিয়েছেন, তারা সেনা কর্তৃপক্ষকে সুশীলা কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন।

২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন সুশীলা কার্কি। এ পদে দায়িত্ব নেওয়া একমাত্র নারী তিনি এবং তখন থেকেই জনপ্রিয় ছিলেন। তবে সেনা সদর দপ্তরের বাইরে জড়ো হওয়া কিছু আন্দোলনকারী তার প্রার্থিতার বিরোধিতা করেছেন।

সেনারা বুধবার কাঠমান্ডুর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পাহারা দিয়েছেন। এসময় গাড়ি ও বহু মানুষকে তল্লাশি করা হয় এবং সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও সেনারা প্রথমে ব্যারাকেই ছিল। তবে মঙ্গলবার রাতে তাদের মোতায়েন শুরু হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতির কথা জানায়।

এছাড়া বুধবার শহরের প্রধান কারাগারে বন্দিদের দমনেও সেনারা অংশ নেয়। কয়েদিরা প্রহরীদের পরাস্ত করে আগুন ধরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে সেনারা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পালানোদের আটক করে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

মূলত ‘জেনারেশন জি’র বিক্ষোভ’ নামে পরিচিত এই আন্দোলন শুরু হয় সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর। সরকার বলেছিল, এসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ও সরকারি তত্ত্বাবধানে আসেনি।

মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। কারণ পুলিশি গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পাশাপাশি আন্দোলনে তরুণদের নানা অসন্তোষ প্রকাশ পাচ্ছে। তারা বলছে, রাজনৈতিক নেতাদের সন্তানরা বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হলেও সাধারণ যুবকদের কর্মসংস্থানের তীব্র সংকট রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে নেপালে তরুণদের বেকারত্বের হার ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। সরকারি হিসাব বলছে, প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি যুবক জীবিকার সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছে।