বিএনপি-জামায়াত কেন সরে এলো “এখনই তত্ত্বাবধায়ক” দাবির থেকে?
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেও বিএনপি ও জামায়াত এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়ার দাবিতে আগ্রহী নয়। এ রায়ের বাস্তবায়ন আগামী সংসদে কার্যকর হবে, বর্তমান নির্বাচনে নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানানো দলগুলো কেন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি এবং জামায়াতের আইনজীবীরা জানান, সংবিধানে যে সংশোধনীর প্রয়োজন তা সংসদ ছাড়া সম্ভব নয়। তাছাড়া সংসদ না থাকায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সুযোগও বর্তমানে নেই।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
বিএনপির আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বে রয়েছে, তাই ভবিষ্যতের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষেই আমরা অবস্থান নিয়েছি। যে আর্টিকেলগুলো আদালত পুনঃস্থাপন বা সংশোধনের কথা বলেছেন, তা এই সরকার করতে পারবে না।”
জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনিরও একই মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের জন্য প্রোসপেকটিভভাবে এই লাইনটি যুক্ত করা হয়েছে যাতে বিতর্ক এড়ানো যায়। এখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক—এটি প্রশ্নবিদ্ধ।”
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এই রায় পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশিত হলে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এই রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হয়েছে এবং আগামী সংসদ ডিজল্ভ হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে।”
তিনি আরও বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল ইস্যু এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল একে অপরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। “সংশোধনীটি অসৎ উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। যদি কোনো আপিল হয়, রিভিউতে এই রায়কে সব সময় সুপারসিড করতে হবে।”
বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের সময়ের নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, ১৯৯১ সালে এক নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলেও নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল। তাই বর্তমানে ‘এখনই নয়, ভবিষ্যতে’ এই অবস্থান গ্রহণের ব্যাখ্যা আইনগত এবং বাস্তবসম্মত।
সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা





