পাশের দেশে পালানো ব্যক্তিকে ফেরাতে চক্রান্তমূলক সুড়ঙ্গ তৈরির চেষ্টা চলছে: রিজভী

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ন, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৫ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘‘ চক্রান্তমূলক অনেক সুড়ঙ্গ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যিনি পালিয়ে গেছেন পাশের দেশে, তাকে যেন ফিরিয়ে আনা যায়। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে গভীর চক্রান্ত চলছে, গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।’’

শনিবার (১১ অক্টোবর) গাজীপুর মহানগর বিএনপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব বলেন তিনি। 

আরও পড়ুন: নির্বাচনকে বিলম্বিত করতেই পিআর পদ্ধতির নামে আন্দোলন হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘‘যারা এখন নানা ধরনের বিতর্ক তৈরি করছেন, বিভাজন করছেন, কারো জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না। আলাপ-আলোচনা হবে, বিতর্ক হবে কিন্তু ঐক্য ঠিক রাখতে হবে। ৫ আগস্টের যে অর্জন, সেটি ব্যর্থ করে দিতে চাচ্ছে তারা।’’

এনসিপির উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘‘শাপলা না দি‌লে ধা‌নের শীষ দেওয়া যা‌বে না, এ ধর‌নের অযাচিত দাবি তু‌লে বিতর্ক সৃ‌ষ্টি করা হ‌চ্ছে। এ ঘটনার চলমান থাক‌লে পরা‌জিত শ‌ক্তিরা সু‌যোগ পা‌বে। শাপলা জাতীয় ফুল এবং জাতীয় প্রতীক, তার সঙ্গে  ধা‌নের শী‌ষের তুলনা করা যেন মামার বা‌ড়ির আবদা‌র। এ সব দাবিতে একদি‌কে সময় নষ্ট, অন‌্যদি‌কে ঐক্যের স্পিট প্রতিহত হ‌চ্ছে।’’ 

আরও পড়ুন: নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের নির্দেশনা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভীতিপ্রদর্শক বা সমাজে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ব্যক্তি বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

রিজভী বলেন, যারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করে, সমাজে যাদের আতঙ্ক বলে মনে করা হয়— তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না। বিএনপি একটি আদর্শিক দল, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

 চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা তার পথের কাঁটা দূর করতে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে গত ১৭ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।  এখন কেন আপনারা চাঁদাবাজদের ধরতে পারছেন না, নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। 

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সন্ত্রাস দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সব কালা আইন বাতিলের দাবি জানান।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির,

বিএনপি সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমিটির গাজীপুর মহানগরের টিম প্রধান ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল। এ সময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।