যমুনায় ৩ দফা পানি বৃদ্ধি, ফসল নষ্ট ৫ কোটি টাকার

চলতি বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে সিরাজগঞ্জে বড় ধরনের বন্যা না হলেও যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, হুড়া সাগর ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি পায় কয়েক দফায়। যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও দফায় দফায় বেড়েছিল। এতে প্লাবিত হয় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে যায় জমির ফসল। চলতি বছর বন্যায় জেলার ২০৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তিন দফায় প্লাবিত হয় যমুনার চরাঞ্চল। যমুনা নদীতীরবর্তী কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর এবং চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার নিম্নভূমিও প্লাবিত হয়। এসব উপজেলার কমপক্ষে ৪২টি ইউনিয়নের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রোপা আমনের বীজতলা, বোনা আমন, আউশ, আখ, শীতকালীন সবজি, মরিচ ও মাষকালাইসহ বিভিন্ন ফসল।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে।’