টানা চার দিন অন্ধকারে নবীনগর, বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে জনতার বিক্ষোভ

Sanchoy Biswas
ফরিদ আহমেদ, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০২ অপরাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে টানা চার দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে নবীনগর নিমজ্জিত।

টানা চার দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। পল্লী বিদ্যুতের চার দফা দাবি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গণছুটি পালন করায় উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বুধবার (১০/০৯) রাতে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন উপশাখা ও বৃহস্পতিবার (১১/০৯) দুপুরে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।

আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর আলম হত্যাকাণ্ড: নিজ ছেলের হাতেই বৃদ্ধ পিতা খুন

ভুক্তভোগী বিক্ষোভকারী রহিছ মিয়া, খালেক মিয়া ও আনোয়ার হোসেনসহ অর্ধশত মানুষ জানান, চার দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা কার্যক্রম, এমনকি চিকিৎসা সেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিও জানান তারা।

জানা গেছে, নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ও এর দুটি উপশাখার আওতায় প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। কিন্তু গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে গণছুটিতে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। ফলে জিনোদপুর, সলিমগঞ্জ, বড়িকান্দি ও নাটঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় শত শত গ্রাহক অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: ফেনীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ও লাইসেন্স না থাকায় ২ ফার্মেসিকে জরিমানা

এ বিষয়ে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সরকারি এজিএম তূর্য মিত্র বলেন, কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর পেয়েছি। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটিতে থাকায় আমরা অসহায়।

ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, সাত লক্ষ মানুষের এই উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা কঠিন। তার ওপর কর্মবিরতির কারণে অভিযোগ পেলেও তা সমাধান করা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে গণছুটিতে রয়েছেন। এর ফলে সারাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। যদিও সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহকে জরুরি পরিষেবা ঘোষণা করে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে, তবে এখনো কেউ সেই নির্দেশ মানেননি।