চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হাজী মোজাম্মেল

১৯৮৬ সালে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাজী মোজাম্মেল হোসেন। এরপর সৌদি আরবে দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটান তিনি। সেখানে হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও ভুলতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি ভালোবাসা। যুক্ত হয়েছেন বিএনপি’র রিয়াদ শাখায়। ‘যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক’ হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি।
মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ফিরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ফরিদগঞ্জ উপজেলার সভাপতির দায়িত্ব পান। এক বছর পরই ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির মনোনয়ন পান তিনি। ২০০৯ সালের সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। সফলতার স্বরূপ ২০১১ ও ২০১২ সালে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক পান এই রাজনৈতিক নেতা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১
তবে মোজাম্মেল হোসেনের দৃষ্টি ছিল সংসদ নির্বাচনে। ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপি থেকে মনোনয়নও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে প্রার্থী পরিবর্তন করা হলে তিনি তা মেনে নেন বলে জানিয়েছেন মোজাম্মেল। তিনি বর্তমানে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে হয়েছেন মামলার শিকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের সময় ৩১টি মিথ্যা মামলা হয়। এতে কয়েক দফায় প্রায় ৫ মাস জেল খেটেছি। মামলাগুলোর মধ্যে ৪-৫টি ছাড়া বাকিগুলোর নিষ্পত্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান
সাবেক এই উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, “আওয়ামী লীগের সময়েই মানুষ আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছে। কারণ আমি তাদের ভালোবাসি, তারাও আমাকে ভালোবাসে। তাছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় যেসব গ্রুপিং চলে, সেগুলোর মধ্যে আমি নেই। আমি নির্বাচিত হলে ফরিদগঞ্জে বিএনপির ভেতরের সকল গ্রুপিং বন্ধ করে সবাই একসঙ্গে কাজ করবো।”
মোজাম্মেল বলেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য আমার এলাকার কৃষি ও শিক্ষা খাত। যদি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হই, তাহলে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার উপর গুরুত্ব দেবো। আমার এলাকায় যেন একটি শিশুও শিক্ষার বাইরে না থাকে সে ব্যবস্থা নেবো। তাছাড়া কৃষি খাত নিয়ে এমন কিছু করতে চাই, যেন বিদেশ থেকে আমাদের কৃষিপণ্য আমদানি করতে না হয়। আমাদের কোনো কৃষকও যেন দারিদ্র্যে না থাকে।”
বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঢাকার উত্তরায় স্থায়ী বাসভবন থাকায় আমি উত্তরা ও ফরিদগঞ্জে বসবাস করি। বর্তমানে আমি ফরিদগঞ্জ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করছি। তারেক রহমানের ৩১ দফা নিয়েও কাজ করছি।” এছাড়া এলাকার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।