শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার রহস্যজনক মৃত্যু

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঝালকাঠি জেলার সাবেক যুব মহিলা লীগ নেত্রী সারমিন মৌসুমি কেকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, মৃতদেহটি বিকেল ৫টার দিকে কেকার মৃত্যুর পর থেকে বাড়িতেই রাখা ছিল। রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: হলে নবীনদের র‍্যাগিং, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

নিহত কেকা ছিলেন ঝালকাঠি জেলার যুব মহিলা লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী মডেল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মাজেদ বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি একটি রুমের ভেতরে মরদেহটি পড়ে আছে। মৃত্যু কয়েক ঘণ্টা আগেই হয়েছে। শরীরে একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন: বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ট্যাবলেট ও গাঁজাসহ নারী আটক

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজনই কেকাকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর পর বিষয়টি গোপন রাখতে তারা কাউকে জানায়নি।

একজন স্বজন জানান, কেকার মরদেহ যে রুমে ছিল, তার দরজার সামনে স্বামী হিরন আহমেদ লিটু রামদা হাতে বসে ছিলেন। কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেননি।

কেকার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।