টিএসসিতে ফুল বিক্রেতা শিশুর উপর নৃশংসতা, শিক্ষার্থীরা অপরাধীর শাস্তি দাবি

Sanchoy Biswas
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ফুল ও চকলেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করা ইয়াসিন (১০) নামের এক পথশিশুর আঙুল কেটে দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে টিএসসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের মতো সেদিনও ইয়াসিন ফুটপাতে ফুল ও চকলেট বিক্রি করছিল। হঠাৎ পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ির কাচে ঢিল লাগে। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ধারণা করেন, ঢিলটি শিশুটিই ছুড়েছে। এরপর তারা গাড়ি থামিয়ে নেমে এসে ইয়াসিনকে মারধর করে তার এক হাতের আঙুল গুরুতরভাবে কেটে ফেলে।

আরও পড়ুন: জুলাই সনদে ইতিহাস বিকৃতি ঘটানো হয়েছে: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভিযোগ

ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কর্মী মমিতুর রহমান পিয়াল শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানান, আঙুলের অর্ধেক অংশ কেটে বাদ দিতে হয়েছে।

পিয়াল বলেন, “ওকে প্রায়ই টিএসসিতে দেখি। সেদিন দেখি একা বসে কাঁদছে। কাছে গিয়ে দেখি আঙুল রক্তাক্ত। এমন নির্মমতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, “একটা গাড়ির কাচ ভাঙার ক্ষতির জন্য কেউ কীভাবে একটি শিশুর আঙুল কেটে দিতে পারে! এটা শুধু নৃশংস নয়, আমাদের মানবতার জন্য কলঙ্ক।”

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের অনশন ও কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা, ‘মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত

এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা শেখ তানভীর বারী হামিম শিশুটির চিকিৎসা ও ওষুধের দায়িত্ব নেন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেলের দুই শিক্ষার্থী মনজুরুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আর রাইহান চিকিৎসায় সহায়তা করেন।

বর্তমানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ইয়াসিন মায়ের কাছে ফিরে গেছে। তবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পিয়াল। তিনি বলেন, “এমন আঘাতের পর সে আবার কলম ধরতে পারবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”

ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।