খোঁজ মিলল নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ন, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:২০ পূর্বাহ্ন, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে। তিনি এখনো নেপালেই রয়েছেন এবং সেনাবাহিনীর সুরক্ষায় শিবপুরী এলাকায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই সরাসরি জেন জি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন তিনি। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নেপালি সংবাদমাধ্যম খবর হাব এ তথ্য প্রকাশ করে।

এক লিখিত বার্তায় অলি তার ব্যক্তিগত শোক, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও শাসনব্যবস্থার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পুলিশের গুলিতে নিহত তরুণদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নিপীড়নের কারণে তিনি সন্তানহীন হলেও বাবা হওয়ার ইচ্ছা তার মধ্যে এখনো অটুট।

আরও পড়ুন: নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি

১৯৯৪ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে অলি জানান, তার সময়ে কোনো ধরনের গুলির ঘটনা ঘটেনি। শান্তির প্রতি নিজের দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান বিক্ষোভকে ধ্বংসাত্মক রূপ দিতে রাজনৈতিক স্বার্থে তরুণদের ব্যবহার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ হঠাৎ করে ঘটেনি, বরং এটি একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। সাধারণ নাগরিকদের নিষ্পাপ মুখ ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি। তার মতে, এভাবে যুব সমাজকে ব্যবহার করা চলতে থাকলে নেপালের স্থিতিশীলতা ও শান্তি মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন: কাতারে ইসরায়েলি হামলায় ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত বলে দাবি

অলি বার্তায় সীমান্ত সমস্যার প্রসঙ্গও তোলেন। লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার মতো বিতর্কিত অঞ্চলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাগরিকদের কথা বলার, চলাফেরার ও প্রশ্ন করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য।

বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে তিনি দাবি করেন, যুব সমাজের অসন্তোষকে রাজনৈতিক চক্রগুলো ব্যবহার করছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অলি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ন্যায্য হলেও এটি রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার হতে দেওয়া উচিত নয়।

তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি রাজনৈতিক গোষ্ঠী যুব সমাজকে ব্যবহার করে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়াতে বাধ্য করে, তবে দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের কল্যাণ ঝুঁকিতে পড়বে।

বার্তার শেষে অলি আবারও প্রতিশ্রুতি দেন নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করার। তার ভাষায়, স্বাধীনভাবে কথা বলার ও প্রশ্ন করার সুযোগ নিশ্চিত করাই তার জীবনের মূল লক্ষ্য। দেশে শান্তি, সংবিধান রক্ষা ও স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে তিনি এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন।