নরসিংদীতে টিউবওয়েলের পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীর শিবপুরে বাড়ির টিউবওয়েলের পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বৈলাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন চক্রধা ইউনিয়নের বৈলাব গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আসাদুজ্জামান মন্টু মিয়ার ছেলে অলিউল ইসলাম সোহাগ (৪০) ও সাজ্জাদ হোসেন রানা (৩৫)।
আরও পড়ুন: অপরাধ জগতের সম্রাট এসআই মিজানুর রহমান প্রবাসীর স্ত্রীকে দিয়ে মামলা বাণিজ্য
স্থানীয় ও স্বজন সূত্রে জানা যায়, চাচা মামুন মিয়ার বাড়ির ব্যবহৃত টিউবওয়েলের পানি তারই আপন চাচা আসাদুজ্জামান মন্টুর বাড়ি দিয়ে প্রবাহ হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আজ এ নিয়ে বিকেলে উভয় পরিবারের মাঝে তুমুল ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। ঝগড়া থামার কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যায় চাচা মামুন ও তার দুই ছেলে দিদার ও বিদ্যুৎ চাপাতি ও ছুরা নিয়ে মন্টুর বাড়িতে প্রবেশ করে সোহাগ ও রানার ওপর আতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় ঘটনাস্থলেই রানা নিহত হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগকে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ ট্রলারসহ ৩০ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
নিহতদের মা শামীমা আক্তার ও বাবা আসাদুজ্জামান মন্টু জানান, মামুনদের বাড়ি আমার বাড়ি থেকে উঁচু হওয়ায় প্রতিদিনই তাদের টিউবওয়েলের পানি আমার বাড়ির ওপর দিয়ে আসে, এতে করে আমাদের চলাচলে সমস্যা হয়। এ নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার তাদেরকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। আজ বিকেলে তারা এ নিয়ে আমাদের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করে। পরে তারা একত্রিত হয়ে আমার ছোট ছেলে রানাকে ছুরিঘাত করলে তার ডাক-চিৎকারে অপর ছেলে সোহাগ ঘর থেকে বের হলে তাকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ছেলেদের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পরিবারের পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।