পিআর পদ্ধতি ছাড়া মানুষ নির্বাচন মেনে নেবে না: আব্দুল হামিদ

জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের ৭১ শতাংশ নাগরিক তাদের প্রতিনিধিদের পিআর পদ্ধতি চায়, একটি বিশেষ দল পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে না—গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত গোপালগঞ্জ-১ আসন ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থীরা এসব কথা বলেন।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাশিয়ানী উপজেলা শাখার উদ্যোগে কাশিয়ানী প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: অপরাধ জগতের সম্রাট এসআই মিজানুর রহমান প্রবাসীর স্ত্রীকে দিয়ে মামলা বাণিজ্য

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ এবং গোপালগঞ্জ-২ (সদর-কাশিয়ানীর ৭ ইউনিয়ন) আসনের অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদার।

মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক গোপালগঞ্জ জেলা আমীর ও গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর) আসনের অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ ৭১ শতাংশ এ দেশের নাগরিক ও তাদের প্রতিনিধিরা পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে, একটি বিশেষ দল পিআর পদ্ধতি চাচ্ছে না। আমরা পিআর পদ্ধতির জন্য সংগ্রাম করছি। জামায়াতে ইসলামী সাথে যারা জড়িত তাদের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের কোনো নেতা বা কর্মী শুধু ঘুষ-দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে, তবে তার পদ অবিলম্বে বাতিল হয়ে যায়। এই দলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো কোনো দলীয় বা উত্তরাধিকারী সুযোগ নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যদি ক্ষমতায় আসে, জনগণের সকল মৌলিক অধিকার রক্ষা করা হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। নারীদের ইসলামী শরিয়ত অনুসারে লেখাপড়া, চাকরি সহ সকল ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় একটি করে সরকারি দাখিল মাদ্রাসা তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন: নরসিংদীতে টিউবওয়েলের পানি প্রবাহকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

গোপালগঞ্জ-২ (সদর-কাশিয়ানীর ৭ ইউনিয়ন) আসনের অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন সরদার বলেন, জামায়াতের মূল লক্ষ্য দুনিয়া শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি। বাংলাদেশ একটি মানবিক দেশ এবং শান্তির দেশ হবে। নারীদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এবারের নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের এমন একটি সময় পার হয়েছে, মসজিদে বসে ইবাদত-বন্দেগি করলেও ধরে নিয়ে আয়না ঘরে বন্দী করে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মীরা অমানবিক জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই জুলুমের শিকার নন, স্বাধীনতা তথ্যের প্রবাহ ও সমাজের ন্যায়বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ “গণমাধ্যম”-কেও বিগত সময়ে সত্য প্রকাশে বাধা প্রদান করা হয়েছে। আমরা গণমাধ্যম বিশ্বাসী। আমরা চাই, গণমাধ্যমকর্মীরা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা করুন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের উপযুক্ত মূল্যায়ন এবং সাংবাদিকদের সকল দাবি পূরণ করা হবে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ৫টায় কাশিয়ানী প্রেসক্লাবে কাশিয়ানী উপজেলা জামায়া আমীর এ বিএম মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মাসুদ খান, জেলা সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম, কাশিয়ানী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাজড়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল কাইউম খান, পিঙ্গলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান হাকিম, ডা. মেহেদী হাসান মানিক, অধ্যাপক শিহাবউদ্দীনসহ প্রমুখ।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জামায়াত নেতাকর্মী ও উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।