দুর্ভিক্ষপীড়িত হাজারো মানুষ
সুদান জুড়ে নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে আরএসএফ
                                        দুর্ভিক্ষ ও মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত সুদানে সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ নেই। দারফুর অঞ্চলে এল-ফাশের শহর দখলের পর সুদান জুড়ে নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণ কর্ডোফানসহ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় হাজারো মানুষ আবারও বাধ্য হচ্ছে ঘর ছাড়তে।
জাতিসংঘ রবিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, আরএসএফ এর অগ্রযাত্রা ও হামলার কারণে অতিরিক্ত কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই দিনে আরএসএফ এক ভিডিও বার্তায় জানায়, তারা উত্তর কর্ডোফান প্রদেশের রাজধানী এল-উবাইদ শহর দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শহরটি বর্তমানে সুদানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন: জোহরান মমদানি জিতলে তহবিল কমানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, শুধুমাত্র শুক্রবারেই বারাহ ও উম রাওয়াবা এলাকা থেকে অন্তত ১,২০০ মানুষ স্থানচ্যুত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে উত্তর কর্ডোফান থেকে প্রায় ৩৬,৮০০ মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে শহর ছেড়েছে।
এদিকে দারফুরের এল-ফাশের শহর থেকে গত সপ্তাহে আরএসএফ কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৭০,০০০-এর বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শহরের রাস্তায় বহু লাশ পড়ে থাকার ভিডিও ও ছবি আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় হত্যাযজ্ঞ চলতেই, পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এল-ফাশেরসহ সংঘাতপ্রবণ এলাকায় গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে সাক্ষী ও বেঁচে ফেরা মানুষদের বর্ণনা থেকে জানা গেছে।
দুর্ভিক্ষের সংকট আরও প্রকট
আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আইপিসি) জানায়, এল-ফাশের ও কাদুগলি অঞ্চলে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে।
এছাড়া দারফুর ও কর্ডোফানের আরও ২০টি এলাকা অতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দেশজুড়ে ৬.৩ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে এবং ৩.৭ লাখ মানুষ সরাসরি দুর্ভিক্ষ অবস্থায় জীবনযাপন করছে।
যুদ্ধাপরাধ তদন্ত
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত  আইসিসি ঘোষণা করে যে আরএসএফ-এর বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধেল অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তদন্তের আওতায় আসছে
* বেসামরিক মানুষের ওপর গণহত্যা
* ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার
* জাতিগত নিধন
* চিকিৎসা কেন্দ্র ও ত্রাণ কর্মীদের ওপর হামলা





                                                    