বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন জেনেভায় উপস্থাপন
গত বছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিক্ষোভে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় জেনেভা জেনেভা থেকে সংস্থাটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ সময় বাংলাদেশে জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সংস্কারের ফলাফল ও সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে
জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৮তম অধিবেশনে একটি বিশ্বব্যাপী আপডেট উপস্থাপনকালে ভলকার তুর্ক বলেন, ফৌজদারি মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সহিংসতার তদন্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, গত বছর বাংলাদেশে সহিংসতায় এক ব্যাপক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। তৎকালীন সরকার ছাত্র আন্দোলনকে ‘নৃশংসভাবে দমনে’ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
তিনি আরও বলেন, দেশ এখন একটি নতুন ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সম্পর্কে তাদের সাম্প্রতিক স্বাধীন তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন এক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ অবদান’ রাখবে।
এর আগে গত সোমবার ভলকার তুর্ক আশা প্রকাশ করেন, তাদের সাম্প্রতিক স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে সত্য বলা, জবাবদিহিতা, ক্ষতিপূরণ, নিরাময় ও সংস্কারে সহায়ক হবে।
তুর্ক বলেন, গত বছর সহিংসতার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। কারণ তৎকালীন সরকার 'মানবাধিকারকে মশাল হিসাবে বহন করা একটি ছাত্র আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন' করেছিল।
'বাংলাদেশ এখন একটি নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তাদের সাম্প্রতিক স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন এই যাত্রায় 'গুরুত্বপূর্ণ অবদান' রাখবে।





