গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব, মিলবে সব ধরনের সুবিধা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ন, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৮ অপরাহ্ন, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করে অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই প্রস্তাবটি প্রণয়ন করা হয়।

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাক্রমে (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স ১৯৮৬) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর রয়েছেন ১৫তম অবস্থানে। এই অবস্থানে রয়েছেন আরও তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব—অ্যাটর্নি জেনারেল, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ও ন্যায়পাল। গভর্নরের অবস্থান বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের নিচে হলেও সচিবদের ওপরে।

আরও পড়ুন: নির্বাচনে সেনা ও নৌবাহিনীর ৯২,৫০০ সদস্য মোতায়েন থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রস্তাবটি কার্যকর হলে গভর্নর পাবেন একজন মন্ত্রীর সমমানের বেতন–ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা। বর্তমানে একজন মন্ত্রী মাসে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা বেতন পান। পাশাপাশি দৈনিক ভাতা ২ হাজার টাকা, নিয়ামক ভাতা ১০ হাজার টাকা, এবং স্বেচ্ছাধীন তহবিল ১০ লাখ টাকা পান। মোবাইল ফোন কেনার জন্য সরকার থেকে ৭৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

মন্ত্রীদের বেতন করমুক্ত এবং তারা সরকারি খরচে সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকার বাইরে অফিসিয়াল সফরের জন্য অতিরিক্ত একটি জিপ গাড়ি প্রদান করা হয়, যার সব খরচ বহন করে সরকার।

আরও পড়ুন: ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

মন্ত্রীদের সরকারি বাসভবনের রক্ষণাবেক্ষণ, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলসহ সব ব্যয় সরকার বহন করে। সরকারি বাসা না পেলে ৮০ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা পান।

এছাড়া সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী, পরিবারের ভ্রমণ খরচ, অন্তত দুইজন গৃহকর্মীর যাতায়াত ব্যয়ও সরকার বহন করে।

একজন মন্ত্রী উপসচিব পদমর্যাদার একজন একান্ত সচিব, সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন সহকারী একান্ত সচিব এবং ক্যাডারের বাইরে থেকে আরেকজন সহকারী একান্ত সচিব পান। এছাড়াও একজন জমাদার, আর্দালি, দুইজন এমএলএসএস, একজন পাচক বা পিয়নসহ প্রয়োজনীয় জনবল তার অধীনে থাকেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও নীতিনির্ধারণী ক্ষমতা আরও জোরদার হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।