ওসমান হাদির ওপর হামলা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলা একটি সুপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওসমান হাদির ওপর হামলা এবং চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার সকল প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো
রিজভী বলেন, হামলার ঘটনায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে চা খেতে দেখা যাচ্ছে—এর বিচার কে করবে? বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়া হয়, যেখানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ‘গ্যাংস্টার’সহ কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করা হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই এমন বক্তব্যের পেছনে উদ্দেশ্য কী—তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও নিরাপত্তা নিয়ে যা জানালেন সালাহউদ্দিন
রিজভী আরও বলেন, শান্তিনগর, শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা বসবাস করেন, কিন্তু তারা কখনো এ ধরনের হামলার শিকার হন না। তাহলে কেন ওসমান হাদিই বারবার টার্গেট হচ্ছেন—এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ওসমান হাদি কখনো মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেননি। তবুও বলা হচ্ছে, তিনি নাকি মির্জা আব্বাসকে বিরক্ত করছিলেন—এটি ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাইনি’ ধরনের বক্তব্য।
একজন ছাত্রনেতার ফেসবুক পোস্টের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য বেরিয়ে এভাবে সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের কটূক্তি করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। নিজেদের ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ভিন্নমতের হলেও তারা কখনো এমন ভাষা ব্যবহার করেননি।
মির্জা আব্বাসের রাজনৈতিক জীবনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, প্রায় ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে কাউকে মারধরের অভিযোগ কেউ তুলতে পারেনি। বরং তিনি মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমন একজন মানুষ হঠাৎ করে একজন তরুণ প্রার্থীকে আঘাত করবেন—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
রিজভী বলেন, দিনের আলোতেই এখন সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠছে। জনগণের পাশাপাশি প্রশাসনও সবকিছু বুঝতে পারছে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা-১০ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রবিউল আলম রবি, ঢাকা-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।





