ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন মুশফিক, শেষ ভরসা মিরাজ

রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে দলকে পাহাড় সমান পুঁজি এনে দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তের পৌঁছে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু অধিনায়ক শান মাসুদ ইনিংস ঘোষণা করলে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি এই ডান হাতি ব্যাটারের। এদিকে সুযোগ থাকার পরও ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেছেন মুশফিকুর রহিম। ১৯১ রান করে আউট হন এই দেশসেরা ব্যাটার।
দলকে লিড এনে দিলেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠে ছেড়েছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫৯ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৩০ রান। হাসান মাহমুদ ০* রান এবং মেহেদী মিরাজ ৬৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বপ্ন পূরণের পথে দাবাড়ু মুনতাহা, পাশে দাঁড়ালেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক
শনিবার (২৪ আগস্ট) নতুন বলের ধাক্কা সামলাতে পারেননি লিটন দাস। ৭৮ বলে ৫৬ রান করে নাসিম শাহর বলে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০৩ বলে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটার।
দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩৬তম ওভারে পাকিস্তানের দেওয়া ৪৪৮ রানের লক্ষ্য ভেদ করেন মিরাজ এবং মুশফিক। এতে লিডে পা রাখে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ফিফটি তুলে নেন মিরাজও। অপরা প্রান্তে ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তের পৌঁছে যান মুশফিক। কিন্তু ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৩৪১ বলে ১৯১ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার দল পেলেন মোস্তাফিজ
এর আগে ১২২ বলে ৫৫* রানে মুশফিক এবং লিটনের অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। এতে ১৩২ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা।
উল্লেখ্য, রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাহাড় সমান ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান।