বাংলাদেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদেশি আমদানির খবর ভিত্তিহীন
                                        সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে যে “ব্রাজিল বাংলাদেশকে কেজি প্রতি ১২০ টাকায় গরুর মাংস সরবরাহ করবে।” এ বিষয়ে সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে, বিদেশ থেকে বিশেষ করে ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমন ভ্রান্ত খবর জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ওসিদের আর পোস্টিং দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত দেশীয়ভাবে মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রায় ১৫ লক্ষ প্রান্তিক খামারি এবং ৬ লক্ষাধিক মৌসুমী খামারি কোরবানির ঈদ উপলক্ষে গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ, উৎপাদন উপকরণ বিতরণ, বাজার সংযোগ এবং ভ্যালু চেইন উন্নয়নের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ওসিদের আর পোস্টিং দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশীয় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, সুষম খাদ্য ব্যবস্থা, টিকা সরবরাহ ও পশু চিকিৎসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও টেকসই করা হচ্ছে। তবে মাংস একটি অতি-পচনশীল পণ্য হওয়ায় এর গুণগত মান বজায় রাখতে কার্যকর কোল্ড চেইন অবকাঠামো অপরিহার্য।
সরকারি পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিদেশ থেকে মাংস আমদানি প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে পারে এবং ক্ষুরারোগ, LSD, Anthrax, BSE, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, ব্রুসেলোসিস ও ই-কোলাইসহ অন্যান্য জীবাণুর প্রবেশের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সরকার দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা ও নিরাপদ মাংস সরবরাহে অঙ্গীকারবদ্ধ।





                                                    