ভারত সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ন, ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৪ অপরাহ্ন, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাঁচ দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দিতে ১৯ নভেম্বর ভারত সফরে যাচ্ছেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে তিনি দুদিনের সফরে দিল্লি পৌঁছাবেন। সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ২০ নভেম্বর, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।

কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (CSC) এই সম্মেলনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস ও বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা অংশ নেবেন। সেশেলস থাকছে পর্যবেক্ষক হিসেবে।

আরও পড়ুন: দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ আগামী সপ্তাহে

সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খলিলুর রহমানের দিল্লি সফর নিশ্চিত হয়েছে। একই তথ্য দিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের একটি সূত্রও। তবে সফর নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে কি না—তা বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ভারতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এমন একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি দ্বিতীয় উপদেষ্টার দিল্লি সফর। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকে যোগ দিতে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান দিল্লি সফর করেন।

এর আগে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠক, যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক, কনস্যুলার সংলাপ ও বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হলেও ভারত তাতে সাড়া দেয়নি।

এদিকে গত বছরের আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে শেষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে CSC–এর পূর্ণ সদস্য হয়। ওই বছরের আগস্টে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সদস্যদেশগুলো শ্রীলঙ্কায় স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে সই করে।

ফোরামটির মূল লক্ষ্য—সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও চরমপন্থা দমন, মানব পাচার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন, সাইবার নিরাপত্তা, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রযুক্তির সুরক্ষা, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

এছাড়া সদস্যদেশগুলোর মধ্যে নীতি সমন্বয়, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও সক্ষমতা উন্নয়নেও কাজ করে কনক্লেভটি।

সচিবালয় কলম্বোতে হলেও ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের সভা সদস্যদেশগুলোতে চক্রাকারে অনুষ্ঠিত হয়।