নাজিরপুরে দলবদলের হাওয়া
বিএনপি-জাপার শীর্ষ নেতাসহ ৫০ জনের জামায়াতে যোগদান

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি থেকে সরে এসে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন দুই শীর্ষ স্থানীয় নেতা সহ প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নাজিরপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিনিধি সমাবেশে এ যোগদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক সভাপতিত্ব করেন এবং মাওলানা আবু দাউদ সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন: সিংড়ায় পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
এসময় জাতীয় পার্টির নাজিরপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও নাজিরপুর সদর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আল আমিন খান এবং বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সহযোগী ফরম পূরণ করে দলে যোগ দেন। তাদের সঙ্গে আরও প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন বলে জানান আয়োজকরা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব মাসুদ সাঈদী। প্রধান আলোচক ছিলেন জেলা আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক, নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কাজী মোসলেহ্ উদ্দিন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি সিফাতুল্লাহ বিন বেলালী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মাফুজুর রহমান, উপজেলা শিবিরের সভাপতি মো. আবু হানিফ ও সেক্রেটারি সাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ৪৭ জন
যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিএনপি থেকে আসা মো. ইস্রাফিল হাওলাদার বলেন, “আমি একজন মুসলমান, সমাজে দ্বীন কায়েম করা আমার কর্তব্য। আমি চাই দেশে ইসলাম কায়েম হোক। বিএনপির আদর্শ ইসলামী আদর্শে আদর্শিত নয় বিধায় উক্ত দল থেকে বের হয়ে জামায়াতে ইসলামে যোগদান করলাম এবং সারাজীবন ইসলামকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চাই।”
প্রধান অতিথি মাসুদ সাঈদী তার বক্তব্যে বলেন,
“আজ যারা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছেড়ে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিলেন তারা ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জামায়াত কোনো স্বার্থের রাজনীতি করে না, আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি। ইসলামি আদর্শ ছাড়া এই দেশে প্রকৃত শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আসন্ন দিনে জামায়াত হবে নির্যাতিত মানুষের ভরসার ঠিকানা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের অগ্রদূত।”