মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, ১৭ মে ২০২৫ | আপডেট: ৮:৫৫ অপরাহ্ন, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ শনিবার  (১৭ মে) ঘোষণা করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার যুক্তিতর্ক ও রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আছিয়ার পরিবারসহ সাধারণ মানুষ ও নাগরিক সমাজ।

গত ১৩ মে (মঙ্গলবার) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। এর আগে ১২ মে সকাল ১০টায় মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়ে দুপুর ১২টায় শেষ হয়। তবে সেদিন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ১৩ মে ফের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন: ডা. নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসি, চারজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল জানান, এ মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাতটি জব্দ তালিকায় থাকা ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জন সাক্ষ্য দিয়ে আলামতকে সত্যায়ন করেছেন। এছাড়া মামলায় তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেট ও পাঁচজন চিকিৎসকের সাক্ষ্য রয়েছে, যারা আদালতে তাদের স্বাক্ষর শনাক্ত করেছেন এবং মেডিকেল প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন।

তিনি বলেন, সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, হিটু শেখ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।

আরও পড়ুন: জুলাই গণহত্যা মামলা: শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে

আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বলেন, আমরা আদালতের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছি। আমরা চাই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিশুর এমন পরিণতি না হয়।

মাগুরা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু বলেন, এই মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সমাজের জন্য ইতিবাচক বার্তা। অপরাধ করলে শাস্তি নিশ্চিত—এ বার্তা সকলের কাছে পৌঁছাবে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মার্চ মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজ প্রতিবাদে অংশ নেয়। অভিযুক্ত হিটু শেখ ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরবর্তীতে তদন্তে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়।

আজকের রায়ে বিচার প্রত্যাশী পুরো দেশ তাকিয়ে আছে মাগুরার আদালতের দিকে।