কর্মকর্তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা
চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা। এর অংশ হিসেবে রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাদের বৈঠক হয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা কর্মকর্তাদের গাড়ি আটকে গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।
রোববার (১৮ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিশ্বনেতাদের উত্থান, পতন ও পরিণতি
এর আগে দুপুর ২টা থেকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকার্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাটভিত্তিক উৎপাদনে বড় বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
১. চাকরিচ্যুতির সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল।
২. যদি কোনো সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।
৩. যে আইন কাঠামো ও একতরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্কার করতে হবে।
৪. গতকাল গ্রেফতার হওয়া মুখ্য সমন্বয়ক সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।
এর আগে, অবস্থান কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. রিপন হোসেন বলেন, ৬০০ জনের মতো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তিন বাহিনী মিলিয়ে। অনেককে বাধ্যতামূলক পেনশনে পাঠানো হয়েছে। কোর্ট মার্শাল করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতি মানি না আমরা।
সাবেক নৌবাহিনীর নাবিক এম বাহাউদ্দিন বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি। যদি কেউ এসময়ের মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থেকে আমাদের দাবির বিষয়ে আলাপ করতে না আসে, তাহলে জাহাঙ্গীরগেটের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করবো আমরা।





