চবি পরিবহণ অব্যবস্থাপনায় ফের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের বহনকারী স্কুলবাসগুলোর বেপরোয়া চালনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই প্রবণতা শুধু নিয়ম ভঙ্গ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জীবনের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা সেই ঝুঁকির ভয়াবহতা আবারও সামনে এনেছে।
সোমবার (২০ মে) আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে এমনই এক প্রাণঘাতী ঘটনার সম্মুখীন হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিত বিন নাছিম ও তার বন্ধু। ক্লাস শেষে বাসায় ফিরতে তারা রিকশাযোগে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে সাউথ ক্যাম্পাস অভিমুখে রওনা দেন। পথিমধ্যে সাউথ ক্যাম্পাস মসজিদের পাশ দিয়ে ফরেস্ট্রি রোডের দিকে যেতে হলে একটি ব্রিজ সাদৃশ্য স্থান অতিক্রম করতে হয় যার দু'পাশে রয়েছে সুগভীর খাদ, এমনকি এর পাশে নেই কোনো ধরনের প্রতিরক্ষা বাউন্ডারি।
আরও পড়ুন: চাকসুতে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাবেদ
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সাবিত জানান, “রিকশা যখন ব্রিজে উঠছিল, ঠিক তখনই হঠাৎ করে শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের বহনকারী একটি স্কুলবাস খুবই বেপরোয়া গতিতে বিপরীত দিক থেকে এসে আমাদের রিকশাকে ডান পাশে জায়গা থাকা সত্ত্বেও সাইড না দিয়ে একেবারে খাদের কিনারায় ঠেলে দেয়। নিচে খাদ থাকায় আমরা জীবনহানির মুখে পড়ি। কেবল কয়েক ইঞ্চি ব্যবধানে রিকশাটি খাদে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।”
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেও বাসটির চালক একবারের জন্যও থেমে দেখেননি, বরং দ্রুত গতিতে স্থান ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির মডেল ছাত্রশিবির : সাদিক কায়েম
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যান চলাচলে এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি। শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত করে জড়িত চালকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির সহকারী প্রক্টর মো. বজলুর রহমান দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার চবি প্রতিনিধি মো. সাবিত বিন নাছিম কে বলেন, "এগুলো ড্রাইভারদের বলতে হবে। আমি দপ্তরের পরিচালকের সাথে কথা বলব। সবাইকে না বল্লে তো সতর্ক হওয়া যায় না।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিবহণ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার চবি প্রতিনিধি মো. সাবিত বিন নাছিম কে বলেন, "আমাদের রাস্তা তো খুব সরু এখানে প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি চালিত রিকশা ও সিএনজি চলে এর ভিতরেই গাড়িগুলো তো চালাতে হয়। ড্রাইভারদের সবসময়ই সাবধানতার সাথে গাড়ি চালাতে নির্দেশ দেওয়া আছে।"