টানা দ্বিতীয় বছরও চীনের জনসংখ্যা কমলো

বাংলাবাজার পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ন, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪ | আপডেট: ৯:০৩ পূর্বাহ্ন, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

টানা দ্বিতীয় বছরেও চীনের জনসংখ্যা হ্রাস অব্যাহত রয়েছে। ২০ লাখেরও বেশি কমেছে চীনের জনসংখ্যা। জন্মহার কম থাকা এবং করোনাভাইরাসে মৃত্যুর কারণে জনসংখ্যা কমেছে বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি চীন দাবি করেছে, তাদের অর্থনীতির বৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর- এ তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত আমদানিতে ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি

চীনের দাবি, তারা আর্থিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির টার্গেট পূরণ করতে পেরেছে। করোনার কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার পর চীনের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ শতাংশ।  

বেইজিংয়ের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালে যে জনসংখ্যা ছিল, সে তুলনায় ২৩ সালের জনসংখ্যা ২০ লাখ ৮০ হাজার কম। ২০২৩ সালে জন্মহার ছিল প্রতি হাজারে ৬ দশমিক ৩৯।  

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০৭

এক সময় এশিয়ার উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মতো চীনেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা একটি সমস্যা হিসেবে হাজির ছিল। ১৯৮০ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে এক সন্তান নীতি চালু করে।

কিন্তু ২০১০ সাল থেকে জন্মহার কমা শুরু হওয়ার ৫ বছর পর, ২০১৫ সালে সেই নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় চীন।

কিন্তু তবুও কাঙ্ক্ষিত জন্মহার অধরাই থেকে যায়। কারণ, বর্তমানে চীনে সন্তানদের বড় করার খরচ, শিক্ষাব্যয় এত বেশি যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দম্পতিই একটির অধিক সন্তান নিতে আগ্রহী হন না।

ভারত অবশ্য জনসংখ্যার দিক দিয়ে চীনকে টপকে এখন বিশ্বের এক নম্বর দেশ।  সূত্র: ডয়চে ভেলে