শ্রীলংকার কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দুইটিতেই জিতল শ্রীলঙ্কা। সিলেট টেস্টের পরে চট্টগ্রাম টেস্টেও হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম টেস্টে ১৯২ রানের বড় জয় পেয়েছে লঙ্কানরা।
পঞ্চম দিনে জেতার চেয়ে হার বিলম্বিত করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু সেটাও পারল না টাইগাররা। ২৬৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম। পঞ্চম দিনে জেতার চেয়ে হার বিলম্বিত করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু সেটাও হয়নি। এক সেশন শেষের আগেই অলআউট হতে হলো বাংলাদেশকে। লংকানদের ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মিরাজের অপরাজিত ৮১ রানে ভর করে ৩১৮ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের পরাজয় ১৯২ রানে। সিরিজটি বাংলাদেশ হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীতে সাকিব আল হাসানের শ্রদ্ধা
আগের দিনের ১০ রানের সঙ্গে এদিন মোটে ৪ রান যোগ করেছেন তাইজুল ইসলাম। কামিন্দু মেন্ডিসের বলে গালিতে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন নিশান মাদুশকা। এর আগেই অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অষ্টম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেছে মিরাজ-তাইজুল জুটি।
হাসান মাহমুদ এর পর ভালোই খেলেছেন। তাকে নিয়ে দলের স্কোর ৩০০ পার করেছেন মিরাজ। সিরিজে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ৩০০ রান করা। এমনকি নিজেদের টেস্ট ইতিহাসেই এই নিয়ে পঞ্চমবার চতুর্থ ইনিংসে ৩০০ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: স্বপ্ন পূরণের পথে দাবাড়ু মুনতাহা, পাশে দাঁড়ালেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক
হাসান মাহমুদ আউট হয়েছেন লাহিরু কুমারার বাউন্সারে। নিজেকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ব্যাটে বল লাগিয়েছেন। সিলি মিড অনে দাঁড়ানো নিশান মাদুশকা ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। শেষ উইকেটও নিয়েছেন লাহিরু কুমারাই। খালেদকে বোল্ড করে তার দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।